আজ শনিবার, ২৫শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সদর উপজেলায় হাজিরা ভাতার দাবিতে গ্রাম পুলিশদের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের ৬৪ জন গ্রাম পুলিশ ৮ মাসের হাজিরা ভাতার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে।

৩১ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে গ্রাম পুলিশরা বিক্ষোভ করেন।

গ্রাম পুলিশরা জানান, দফাদার ৩ হাজার ৪০০ টাকা এবং মহল্লাদার ৩ হাজার টাকা মাসে বেতন পায়। থানায় হাজিরার জন্য সরকার মাসে আমাদের আরো ১২শ টাকা করে হাজিরা ভাতা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। দেশের অন্যান্য জেলায় গ্রাম পুলিশরা হাজিরা ভাতা পেয়ে আসছে। নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন অর্থাৎ ফতুল্লা, কাশিপুর, কুতুবপুর, এনায়েতনগর, বক্তাবলী, আলীরটেক ও গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৬৪জন গ্রাম পুলিশ ৮ মাস যাবত হাজিরা ভাতা উপজেলা থেকে পাচ্ছিনা।

এই হাজিরা ভাতার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তাসমিন বিনতে জেবিন শেখের কাছে ৮মাস ধরে ঘুরছি। ইউএনও দেই দিচ্ছি বলে আমাদের ঘুরাচ্ছে। সম্প্রতি উপজেলায় আসলে ইউএনও’র সহকারী মনির হোসেন আমাদের জানান, ‘এই ইউএনও থাকাকালীন সময়ে আপনারা হাজিরা ভাতাসহ সরকারী কোন সুবিধাই পাইবেন না।’

এতে দফাদার মোস্তফা কামাল, নিজাম উদ্দিন, আক্কার আলী, আমান উল্লাহ, রফিকুল ইসলামসহ ৬৪জন গ্রাম পুলিশ উপজেলা পরিষদে এসে আমাদের হাজিরা ভাতা আদায়ের জন্য বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করছি।

ইউএনও’র সহকারী মনির হোসেন গ্রাম পুলিশদের অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান, সমন্বয় কমিটির মিটিংয়ে পাশ হলে গ্রাম পুলিশদের হাজিরা ভাতা দেয়া হবে।

উপজেলা পরিষদের একাধিক সূত্র জানান, শুধু গ্রাম পুলিশদের ফাইল নয় আরো অনেক ফাইল মাসের পর মাস ইউএনও’র টেবিলের সামনে পড়ে আছে। রহস্যজন কারনে ওইসব ফাইলে ইউএনও হাত দেয়না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তাসমিন বিনতে জেবিন শেখর জানান, গ্রাম পুলিশরা মূলত হাজিরা দেয় থানায়। আর থানা থেকে এব্যাপারে আমাদের কাছে কোন প্রতিবেদন পাঠায়নি। তদুপরি নারায়ণগঞ্জের কোন উপজেলায় গ্রাম পুলিশের ভাতা দেওয়ার প্রচলন শুরু হয়নি। এব্যাপারে ডিসি স্যারের সাথে কথা বলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন জানান, সরকারী সুবিধা গ্রাম পুলিশদের পাওয়া জরুরী। অপরাধ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের সহযোগীতার জন্য গ্রাম পুলিশদের তৎপরতা বাড়াতে থানায় তাদের প্রশিক্ষন দেয়া হয়। এছাড়া অপরাধীদের তালিকা তৈরীতে গ্রাম পুলিশরা কাজ করছে। তাদের মানমর্যাদা বৃদ্ধির জন্য ফতুল্লা মডেল থানার পক্ষ থেকে পরিচয়পত্র দেয়ার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে।